এসব ধর্মীয় গান-বাজনার মধ্যেও নানা ধরনের গর্হিত কথা থাকে। যেমন বলা হল, প্রতি নবীরই একটা নির্দিষ্ট অবস্থান আছে, আর হে মুহাম্মাদ! এ সেই আরশ! একে গ্রহণ কর। এই বাক্যের শেষ কথা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নামে মিথ্যা বানান হয়েছে, যার মূল ঠিক নয়। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনই আরশ গ্রহণ করবেন না আর তাঁর রবও এ কথা বলবেন না।
ইসলামের
পথে এসো..Islamer Pothe Asho
|
শ্রুতিমধুর কন্ঠস্বরের দ্বারা মেয়েদের ফিৎনা:
সাহাবী বারা ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর কন্ঠস্বর ছিল মধুর। কোনো কোনো সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে চলার সময় ধর্মীয় গান গাইতেন। একদা যখন তিনি গান গাচ্ছিলেন, আর মহিলারা নিকটে এসে পড়ল, তখন রাসূল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন: মেয়েদের থেকে সাবধান! ফলে তিনি নিশ্চুপ হয়ে পড়লেন। তার স্বর মেয়েরা শ্রবণ করুক তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করেন নি। (হাকেম:৫২৭৩)
যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ভয় পেয়ে থাকেন যে, বাগানে গিয়ে সুর করে কবিতা পড়লে মেয়েদের মধ্যে ফিৎনা হবে, তাহলে বর্তমান জামানায় মহিলারা রেডিও টেলিভিশনে যে ধরণের গান-বাজনা করে তাদের গান-বাজনা শুনলে কী বলতেন? এ ধরনের গায়িকারা বেশির ভাগই নানা ধরনের ফাসিক ও নগ্ন কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে, আর শরীরের নানাবিধ বর্ণনা দিয়ে যে কবিতা পাঠ করে তাতে বিবিধ ধরনের অব্স্থার ও মানসিক ফিতনার উদ্রেক করে। ফলে অন্তরে এমন রোগের সৃষ্টি হয় যা তাদের তাদের লজ্জা শরম বির্সজন দিতে ও বেহায়াপনায় লিপ্ত হতে উৎসাহিত করে। যদি এ গানের সাথে মাতাল করা সুরের মিশ্রণ হয়, তবে তো তাদের বুদ্ধির বিভ্রম ঘটায়। যারা এই গানের নেশায় পড়ে, তাদের তা ঐ রকমই ক্ষতি করে যা মদ পান করার পর হয়ে থাকে।
গান অন্তরে নিফাকী সৃষ্টি করে:
ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন: গান অন্তরে মুনাফেকী সৃষ্টি করে, যেমন ভাবে পানি ঘাস সৃষ্টি করে। যিকির অন্তরে ঈমান সৃষ্টি করে, যেমন পানি ফসল উৎপন্ন করে।
ইবনুল কাইয়্যিম রহ. বলেন: যে ব্যক্তি সব সময় গান-বাজনায় ব্যস্ত থাকে, তার অন্তরে মুনাফেকীও সৃষ্টি হবে, যদিও তার মধ্যে এর অনুভুতি আসবে না। যদি সে মুনাফেকীর হাকীকত বুঝতে পারত, তবে অবশ্যই অন্তরে তার প্রতিফলন দেখতে পেত। কারণ, কোনো বান্দার অন্তরে কোনো অবস্থাতেই গানের মহব্বত ও কুরআনের মহব্বত একত্রে সন্নিবেশিত হতে পারে না। তাদের একটি অন্যটিকে অবশ্যই দুর করে দিবে। কারণ, আমরা দেখতে পাই যে, গান ও কাওয়ালী শ্রবণকারীদের কাছে কুরআন তেলাওয়াত শ্রবণ করা খুবই শক্ত ঠেকে আর ক্বারি যে আয়াতই তেলাওয়াত করুক না কেন, তা দ্বারা ঐসব লোক মোটেই উপকৃত হয় না। ফলে শরীরে কোনো নাড়াচড়া ও অন্তরে কোনো উদ্দীপনা আসে না। আর যখনই তারা গান শ্রবণ করে, তখনই তাদের কন্ঠস্বরে ভয়ের এক প্রভাব সৃষ্টি হয়, অন্তরে এক ভাবের সৃষ্টি হয়, সেটার জন্য রাত্রি জাগরণ করা তাদের নিকট মধুর হয়। ফলে দেখতে পাই তারা গান বাদ্য শ্রবণ করাকে কুরআন তেলাওয়াত শ্রবণ অপেক্ষা বেশি প্রধান্য দেয়। বেশির ভাগ লোকই যারা গান ও বাদ্যের ফিৎনায় লিপ্ত আছে, তারা সালাত আদায়ে খুব অলসতা দেখায়। বিশেষ করে জামা‘আতে সালাত আদায়ের ব্যাপারে।
ইবন আকীল রহ. যিনি হাম্বলী মাযহাবের একজন বড় আলেম, তিনি বলেন: যদি কোনো গায়িকা (নিজের স্ত্রী ব্যতিত) গান গায় তবে তা শ্রবণ করা হারাম। এ ব্যপারে হাম্বলী মাযহাবে কোনো মতবিরোধ নেই।
ইবন হাযম রহ. বলেন: মুসলিমদের জন্য কোনো বেগানা মহিলার গান শ্রবণ করে আনন্দ লাভ করা হারাম।
পোষ্টটি উপকারী মনে হলে অব্যশয় শেয়ার করবেন
No comments:
Post a Comment
Thank You