মানব প্রকৃতিকে পরিশুদ্ধ করার যত উপায়-উপকরণ আছে ইসলামী শরী‘আত তার সবই উপস্থাপন করেছে। এটি ইসলামের একটি বড় সৌন্দর্য। নাপাকী দূর করা এসব উপায়ের একটি। এ কারণেই ‘ইসতিনজা’ বা শৌচকার্য বিধিবদ্ধ করা হয়েছে এবং কীভাবে পাক-পবিত্রতা অর্জিত হবে তার নিয়ম বাতলে দেওয়া হয়েছে।
ইসলামের পথে এসো..Islamer Pothe Esho |
অনেকে নাপাকী দূরীকরণে অলসতা করে থাকে। যার ফলে তাদের কাপড় ও দেহ অপবিত্র হয়ে যায় এবং ফলশ্রুতিতে তাদের সালাত হয় না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেটাকে কবর ‘আযাবের অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেছেন।
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনার একটি খেজুর বাগানের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেখানে তিনি দু’জন (মৃত) ব্যক্তির কণ্ঠস্বর শুনতে পান। কবরে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছিল। তা শুনে তিনি বললেন, এ দু’টো লোককে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বড় কোনো কারণে নয়। অবশ্য গুনাহ হিসেবে এগুলো কবীরা। তাদের একজন পেশাব শেষে পবিত্র হত না। আর অন্যজন চোগলখুরী করে বেড়াত”।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বরং এতদূর বলেছেন যে,
«أَكْثَرُ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي الْبَوْلِ»
“বেশিরভাগ কবরের ‘আযাব পেশাবের কারণে হয়”।
পেশাবের ফোঁটা বন্ধ না হতেই যে দ্রুত পেশাব থেকে উঠে পড়ে কিংবা এমন কায়দায় বা স্থানে পেশাব করে যেখান থেকে পেশাবের ছিঁটা এসে গায়ে বা কাপড়ে লাগে সেও এ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হবে।
কাফেরদের দেখাদেখি আমাদের মধ্যে অনেকস্থানেই দেওয়ালের সঙ্গে সেঁটে টয়লেট তৈরি করা হয়। এগুলো খোলামেলাও হয়। মানুষ কোনো লজ্জা-শরম না করেই চলাচলকারী মানুষের সামনে সেখানে দাঁড়িয়ে পেশাব করতে শুরু করে। তারপর পেশাবের নাপাকী সমেতই কাপড় পরে নেয়। এতে দু’টি বিশ্রী হারাম একত্রিত হয়।
এক. সে তার লজ্জাস্থানকে মানুষের দৃষ্টি থেকে হিফাযত করে না।
দুই. সে পেশাব থেকে পবিত্রতা অর্জন করে না।
৬৩. লোকদের অনীহা সত্ত্বেও গোপনে তাদের আলাপ শ্রবণ করা
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَ لَا تَجَسَّسُواْ ﴾ [الحجرات: ١٢]
“তোমরা গোয়েন্দাগিরি করো না”। [সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১২]
অনুরূপ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«مَنِ اسْتَمَعَ إِلَى حَدِيثِ قَوْمٍ، وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ، أَوْ يَفِرُّونَ مِنْهُ، صُبَّ فِي أُذُنِهِ الآنُكُ يَوْمَ القِيَامَةِ»
“যে ব্যক্তি লোকদের অনীহা বা তার কাছ থেকে পালানো সত্ত্বেও তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনে ক্বিয়ামতের দিন তার দু’কানে গলিত সীসা ঢেলে দেওয়া হবে”।
আর যদি ক্ষতি করার মানসে তাদের থেকে শোনা কথা তাদের অগোচরে মানুষের নিকট বলে বড়োয়, তাহলে গোয়েন্দাগিরি পাপের সাথে কুটনামির পাপও জড়িত হবে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«لَا يَدْخُلُ الجَنَّةَ قَتَّاتٌ»
“ক্বাত্তাত বা চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না”।
ইসলামের পথে এসো..Islamer Pothe Esho
পোষ্টটি উপকারী মনে হলে অব্যশয় শেয়ার করবেন
No comments:
Post a Comment
Thank You