উত্তর: বড় শিরকের দ্বারা মানুষের সৎ ‘আমলসমূহ নষ্ট হয়ে যায়, জান্নাত হারাম হয়ে যায় এবং চিরস্থায়ী ঠিকানা জাহান্নামে নির্ধারিত হয়। আর তার জন্যে পরকালে কোনো সাহায্যকারী থাকে না। আল্লাহ বলেন:
﴿وَلَقَدۡ أُوحِيَ إِلَيۡكَ وَإِلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكَ لَئِنۡ أَشۡرَكۡتَ لَيَحۡبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٦٥ ﴾ [الزمر: ٦٥]
“(হে নবী! আপনি যদি শিরক করেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনার ‘আমলসমূহ নষ্ট হয়ে যাবে। আর আপনি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন।” [সূরা আয-যুমার ৩৯:৬৫]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
﴿إِنَّهُۥ مَن يُشۡرِكۡ بِٱللَّهِ فَقَدۡ حَرَّمَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِ ٱلۡجَنَّةَ وَمَأۡوَىٰهُ ٱلنَّارُۖ وَمَا لِلظَّٰلِمِينَ مِنۡ أَنصَارٖ ٧٢ ﴾ [المائدة: ٧٢]
“নিশ্চয়ই যে আল্লাহর সাথে অন্যকে অংশীদার বানায়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন, তার চিরস্থায়ী বাসস্থান হবে জাহান্নাম। এ সমস্ত যালিম তথা মুশরিকদের জন্য কিয়ামাতের দিন কোনো সাহায্যকারী থাকবে না।” [সূরা আল-মায়িদাহ্ ৫:৭২]
আল্লাহ ইচ্ছা করলে যে কোনো গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন, কিন্তু শিরকের গুনাহ (তাওবাহ ব্যতীত মৃত্যুবরণ করলে) কখনো মাফ করবেন না। শির্কের গুনাহের চূড়ান্ত পরিণতি স্থায়ীভাবে জাহান্নামের আগুনে দগ্ধিভূত হওয়া।
No comments:
Post a Comment
Thank You