Breaking News
recent

প্রশ্ন: রোগমুক্তি বা কল্যাণ লাভের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের ধাতু দ্বারা নির্মিত আংটি, মাদুলি, বালা, কাপড়ের টুকরা, সুতার কায়তন অথবা কুরআন মাজীদের আয়াতের নম্বর জাফরানের কালি দিয়ে লিখে এবং বিভিন্ন ধরনে নকশা এঁকে দো‘আ, তাবীয-কবয বানিয়ে তা হাতে, কোমরে, গলায় বা শরীরের কোনো অঙ্গে ব্যবহার করা যাবে কী?

প্রশ্ন: রোগমুক্তি বা কল্যাণ লাভের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের ধাতু দ্বারা নির্মিত আংটি, মাদুলি, বালা, কাপড়ের টুকরা, সুতার কায়তন অথবা কুরআন মাজীদের আয়াতের নম্বর জাফরানের কালি দিয়ে লিখে এবং বিভিন্ন ধরনে নকশা এঁকে দো‘আ, তাবীয-কবয বানিয়ে তা হাতে, কোমরে, গলায় বা শরীরের কোনো অঙ্গে ব্যবহার করা যাবে কী?

উত্তর: রোগ-ব্যাধি হতে মুক্তি পাওয়ার জন্যে, মানুষের বদনযর হতে রক্ষা পাওয়ার জন্যে অথবা কল্যাণ লাভের উদ্দেশ্যে উল্লিখিত বস্তুসমূহ শরীরের কোনো অঙ্গে ঝুলানো সুস্পষ্ট শির্ক বা তাওবাহ ব্যতীত অমার্জনীয় পাপ। আল্লাহ বলেন:
﴿ وَإِن يَمۡسَسۡكَ ٱللَّهُ بِضُرّٖ فَلَا كَاشِفَ لَهُۥٓ إِلَّا هُوَۖ ﴾ [الانعام: ١٧]
“আল্লাহ যদি আপনার উপর কোনো কষ্ট ও বিপদ-আপদ আরোপ করেন, তাহলে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ তা দূর করতে পারে না।” [সূরা আল-আন‘আম ৬:১৭]
উল্লিখিত বিপদ-আপদে আমাদের করণীয় বিষয় দু’টি:
১. বৈধ ঝাড়ফুঁক বা কুরআন ও সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত দো‘আ পাঠ করা।
২. বৈধ বা হালাল ঔষধ সেবন করা।
এক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«من علق تميمة فقد أشرك»
“যে ব্যক্তি তাবীয ঝুলাল সে শিরক (তাওবাহ ব্যতীত অমার্জনীয় পাপ) করল।” (মুসনাদে আহমাদ হা: ১৬৭৮১, সিলসিলাহ সহীহাহ হা: ৪৯২, সনদ সহীহ)

SAZU

SAZU

No comments:

Post a Comment

Thank You

Powered by Blogger.