যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে না সে কোথা থেকে অর্থ উপার্জন করল এবং কোথায় ব্যয় করল তার কোনো পরোয়া করে না। তার একটাই ইচ্ছা সম্পদ বৃদ্ধি করা। চাই তা হারাম, অবৈধ যে পথেই হোক। এজন্য সে ঘুষ, চুরি ডাকাতি, ছিনতাই, আত্মসাৎ, হারাম দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়, সুদ, ইয়াতীমের মাল ভক্ষণ, জ্যোতিষগিরী, বেশ্যাবৃত্তি, গান-বাজনা ইত্যাদি হারাম কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন, এমনকি মুসলিমদের সরকারী কোষাগার কিংবা জনগণের সম্পদ কুক্ষিগত করা, মানুষকে সংকটে ফেলে তার সম্পদ বাগিয়ে নেওয়া, ভিক্ষাবৃত্তি ইত্যাদি যে কোনো উপায়ে অর্থ উপার্জন করে। অতঃপর সে ঐ অর্থ থেকে খায়, পরিধান করে, গাড়িতে চড়ে, বাড়ী-ঘর তৈরি করে কিংবা বাড়ী ভাড়া নিয়ে দামী আসবাবপত্র দিয়ে সাজায়। এভাবে হারাম দিয়ে তার উদর পূর্তি করে। অথচ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«وَكُلُّ لَحْمٍ نَبَتَ مِنْ سُحْتٍ فَالنَّارُ أَوْلَى بِهِ»
ইসলামের পথে এসো..Islamer Pothe Esho |
“শরীরের যতটুকু গোশত হারাম থেকে উৎপন্ন হয়েছে, তা জাহান্নামের জন্যই সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত”।
আর কিয়ামতের দিনেও তাকে জিজ্ঞেস করা হবে, কোথা থেকে সে ধন-উপার্জন করেছে এবং কোথায় ব্যয় করেছে। সুতরাং এ শ্রেণির লোকদের জন্য শুধু ধ্বংসই অপেক্ষা করছে। অতএব যার কাছে হারাম সম্পদ রয়ে গেছে তার উচিত তা থেকে নিজেকে মুক্ত করে; যদি মানুষের হক হয় তবে যেন তার কাছে তা ফেরত দেওয়ার সাথে সাথে তার কাছ থেকে ক্ষমাও চেয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যেদিন মানুষ কোনো টাকা-পয়সা নিয়ে আসবে না, আসবে শুধু নেক আমল ও বদ আমল নিয়ে।
৪৬. সোনা-রূপার পাত্র ব্যবহার ও তাতে পানাহার করা
আধুনিক কালে গার্হস্থ্য জিনিসপত্রের এমন কোনো দোকান পাওয়া যাবে না, যেখানে সোনা-রূপার পাত্র অথবা সোনা-রূপার প্রলেপযুক্ত পাত্রাদি নেই। ধনীদের গৃহে এমনকি অনেক হোটেলেও এসব পাত্র পরিবেশন করা হয়। এ জাতীয় পাত্র বিভিন্ন অনু্ষ্ঠানে প্রদত্ত মূল্যবান উপঢোকনে পরিণত হয়েছে। অনেকে নিজ বাড়িতে সোনা-রূপার পাত্র রাখে না বটে কিন্তু অন্যের বাড়ীতে ‘ওয়ালীমা’ ইত্যাদি অনুষ্ঠানে পরিবেশিত সোনা-রূপার পাত্র ব্যবহারে কুণ্ঠাবোধ করে না। অথচ নিজ বাড়ীতে হোক কিংবা অন্যের বাড়ীতে হোক, শরী‘আতে এসব পাত্র ব্যবহার হারাম ঘোষিত হয়েছে। এ জাতীয় পাত্র ব্যবহার কঠোর শাস্তির কথা হাদীসে এসেছে। উম্মু সালামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«إِنَّ الَّذِي يَأْكُلُ أَوْ يَشْرَبُ فِي آنِيَةِ الْفِضَّةِ وَالذَّهَبِ، إِنَّمَا يُجَرْجِرُ فِي بَطْنِهِ نَارَ جَهَنَّمَ»
“যে ব্যক্তি রূপা ও সোনার পাত্রে খাবে কিংবা পান করবে সে যেন তার পেটে জাহান্নামের আগুন ঢক ঢক করে ঢুকিয়ে দিচ্ছে”।
এ বিধান খাবারের পাত্র সহ যেকোনো ধরনের সোনা-রূপার পাত্রের জন্য প্রযোজ্য। যেমন-প্লেট, ডিস, কাঁটা চামচ, চামচ, ছুরি, মেহমানদারীর জন্য প্রস্তুত খাদ্য প্রদানের পাত্র, বিবাহ ইত্যাদিতে মিষ্টি প্রভৃতি পরিবেশনের ডালা বা বারকোশ ইত্যাদি।
কিছু লোক শোকেসের মধ্যে সোনা-রূপার পাত্র রেখে বলে, এগুলো আমরা ব্যবহার করি না, কেবল সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রেখে দিয়েছি। হারামের পথ রুদ্ধ করার জন্য তাদের উক্ত কাজও অনুমোদনযোগ্য নয়। [শাইখ আব্দুল আযীয ইবন বাযের জবানী থেকে সরাসরি প্রাপ্ত]
ইসলামের পথে এসো..Islamer Pothe Esho
পোষ্টটি উপকারী মনে হলে অব্যশয় শেয়ার করবেন
No comments:
Post a Comment
Thank You