দ্বিতীয় মত:
সালাতুল আউয়াবীন হলো সলাতুদ-দুহা বা চাশতের সালাত। এ সালাত সূর্যোদয়ের ১৫ মিনিট পরে শুরু হয় এবং যোহরের ১৫ মিনিট পূর্বে শেষ হয়। এ সালাতের সময় সম্পর্কে হাদীসে এসেছে, যায়িদ ইবন আরকাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«خَرَجَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَهْلِ قُبَاءَ وَهُمْ يُصَلُّونَ، فَقَالَ: «صَلَاةُ الْأَوَّابِينَ إِذَا رَمِضَتِ الْفِصَالُ».
“রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুবা বাসীদের ওখানে গেলেন, তখন তারা সালাত আদায় করছিলেন। তিনি তখন বলেছিলেন, আল্লাহ প্রেমিকদের সালাতের সময় হল যখন উট শাবকের পায়ে উত্তাপ লাগে (অর্থাৎ মাটি গরম হয়ে যায়)।”
আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«لَا يُحَافِظُ عَلَى صَلَاةِ الضُّحَى إِلَّا أَوَّابٌ» قَالَ: «وَهِيَ صَلَاةُ الْأَوَّابِينَ».
“কেবল আওয়াব তথা আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারীগণই সালাতুদ-দুহার সর্বদা গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তিনি আরো বলেছেন, সালাতুদ-দুহা হলো আউওয়াবীনের সালাত।”
আল্লামা আলবানী রহ. বলেছেন, “যারা মাগরিবের পরে ছয় রাকা‘আত সালাত আদায় করাকে আউওয়াবীনের সালাত বলেন এ হাদীস তাদের সে দাবী খণ্ডন করে দিয়েছে। আসলে এ ছয় রাক‘আতের নামের কোনো অস্তিত্ব নেই এবং প্রকৃতপক্ষে মাগরিবের পরে ছয় রাকা‘আত সালাত সাব্যস্ত নেই।”
তৃতীয় মত:
সালাতুল আউয়াবীন সালাতুদ-দুহা ও মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সময়ের নফল সালাত উভয়কেই বুঝায়। এ মতানুসারীরা মূলতঃ দুটি মতকে একত্রিত করেছেন।
মাউসু‘আ ফিকহিয়্যাহ কুয়েতিয়াহতে বলা হয়েছে, সালাতুদ-দুহা ও মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সালাতকে সালাতুল আউয়াবীন বলা হয়। এটা উভয় সালাতের জন্য ব্যবহৃত হয়।
চতুর্থ মত:
সালাতুল আউয়াবীন হলো সফর থেকে ঘরে ফিরে বা সফরে বের হওয়ার সময় দু রাকা‘আত সালাত আদায় করা। তারা দলিল হিসেবে এ হাদীস পেশ করেন,
উসমান ইবন আবু সাওদাহ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মারফু‘ সূত্রে বর্ণনা করেন,
«صلاة الأبرار )صلاة الأوابين (ركعتان إذا دخلت بيتك، وركعتان إذا خرجت».
“সালাতুল আবরার তথা সালাতুল আউয়াবীন হলো যখন তুমি গৃহ থেকে বের হও এবং গৃহে প্রবেশ করো তখন আদায়কৃত দু রাকা‘আত সালাত।”
সালাতুল আউওয়াবীন পর্ব-৯ (Islamic post)
No comments:
Post a Comment
Thank You