Breaking News
recent

islamic post....সালাত আদায়ের পদ্ধতি পর্ব-২১

২৬. অতঃপর ডান দিকে ও বাম দিকে সালাম ফিরাবে এ বলে:
«السلام عليكم ورحمة الله، السلام عليكم ورحمة الله»؛
জাবের ইব্‌ন সামুরা থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, তিনি বলেন: আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সালাত আদায় করতাম বলতাম:

السلام عليكم ورحمة الله، السلام عليكم ورحمة الله
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “চতুর ঘোড়ার লেজের ন্যায় তোমরা হাত দ্বারা কিসের দিকে ইশারা কর, রানের উপর হাত রেখে ডানে ও বামে তোমাদের ভাইদের সালাম দেয়াই যথেষ্ট”[1]
আমের ইব্‌ন সাদ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখতাম, তিনি ডানে ও বামে সালাম ফিরাতেন, এমন কি আমি তার গালের শুভ্রতা দেখতে পেতাম”[2] অতঃপর সে ডানে অথবা বামে যে কোন দিকেই ঘুরতে পারে।[3]

২৭. সালাত যদি তিন রাকাত বিশিষ্ট হয় যেমন মাগরিব অথবা চার রাকাত বিশিষ্ট হয় যেমন জোহর, আসর ও এশা। তাহলে শুধু প্রথম তাশাহুদ পড়বে, তবে উত্তম হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দুরূদ পড়া, যেমন ইতিপূর্বে বর্ণনা করেছি। অতঃপর পা ও হাটুর সম্মুখভাগ এবং রানের উপর ভর দিয়ে তাকবির বলে দাঁড়াবে, উভয় হাত কান অথবা কাঁধ পর্যন্ত উঠাবে, যেমন পূর্বে বর্ণনা করা হয়েছে।[4] দ্বিতীয়ত আব্দুল্লাহ ইব্‌ন ওমরের হাদিসে আছে: “যখন দু’রাকাত থেকে উঠবে উভয় হাত উঠাবে”[5] আবু হুমাইদ থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে: “অতঃপর যখন দু’রাকাত থেকে উঠবে তাকবির বলবে ও উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাবে যেমন সালাতের শুরুতে উঠিয়েছিল, অতঃপর অবশিষ্ট সালাতে অনুরূপ করতে থাকবে”[6] এবং উভয় হাত বুকের উপর রাখবে। কারণ ওয়ায়েল ইব্‌ন হুজরের হাদিসে আছে: “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি, যখন তিনি সালাতে দাঁড়ানো অবস্থায় থাকতেন ডান হাত দ্বারা বাম হাত পাকড়াও করতেন”[7] অতঃপর আস্তে সূরা ফাতেহা পড়বে। যদি জোহরের তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে কখনো ফাতের চেয়ে অতিরিক্ত পড়ে তবে কোন সমস্যা নেই।[8] মাগরিবের তৃতীয় রাকাত এবং জোহর, আসর ও এশার তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাত পূর্বে বর্ণিত দ্বিতীয় রাকাতের ন্যায় পড়বে। কারণ সালাতে ভুলকারী ব্যক্তিকে প্রথম রাকাত শিক্ষা দিয়ে বলেন: “অতঃপর তুমি পূর্ণ সালাতে অনুরূপ কর”[9]



[1] মুসলিম: (৪৩১)
[2] মুসলিম: (৫৮২)
[3] বুখারি: (৮৫২), মুসলিম: (৭০৭) ও (৭০৮)
[4] সুনানে আবু দাউদ: (৮৩৮), তিরমিযি: (২৬৮), নাসায়ি: (১০৮৯), ইব্‌ন মাজাহ: (৮৮২)
[5] বুখারি: (৭৩৯), মুসলিম: (৩৯০)
[6] বুখারি: (৮২৮), আবু দাউদ: (৭৩০)
[7] নাসায়ি: (৮৮৭)
[8] মুসলিম: (৪৫২)
[9] বুখারি: (৮২৪), মুসলিম: (৩৯৭)
SAZU

SAZU

No comments:

Post a Comment

Thank You

Powered by Blogger.